Bangla Awas Yojana 2025: কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের কাছে না ঢোকার অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জন্য বাংলা আবাস যোজনা শুরু করেছেন।
একাধিক ভাবে এই প্রকল্পকে দুর্নীতিমুক্ত রাখার চেষ্টা চালিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তারপরেও এই প্রকল্প ঘিরেও এবার দুর্নীতির খবর! সম্পূর্ণ বিস্তারিত তথ্য জানুন আজকের এই প্রতিবেদনে।
Bangla Awas Yojana 2025
এই প্রকল্প শুরু করার পূর্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসমক্ষে জানান যে কেন্দ্রীয় সরকারের আবাস যোজনার টাকা ঢুকছে না পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে। এই বিষয়ে বহুবার কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ জানানো হলেও এই বিষয়ে কোনো রকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। কেন্দ্রের রাজনীতির জন্য সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বাংলার গৃহহীন মানুষদের। এই বিষয়টি একেবারেই মেনে নিতে পারেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এই উদ্যোগে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ২০২৪ সালে শুরু করা হয় বাংলা আবাস যোজনা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলার গৃহহীন মানুষেরা তাদের মাথার উপরের ছাদ পাকা করার উদ্দেশ্যে মোট দুটি কিস্তিতে পাবেন এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা।
Read More: রাজ্যের মা ক্যান্টিনের আদলে, বিজেপি চালু করছে ‘১০ টাকায় খাবার’!
যেখানে প্রথম কিস্তিতে ৬০,০০০/- টাকা দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। এই টাকা পাওয়ার ৩ থেকে ৬ মাসের মধ্যে বাড়ি বানানোর অর্ধেক কাজ শেষ করতে হবে। তারপর রাজ্য সরকারের সার্ভে অনুযায়ী আশানুরূপ ফল পাওয়া গেলে দ্বিতীয় কিস্তির মাধ্যমে আরও ৬০,০০০/- টাকা পাবেন উপভোক্তারা। দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার পর ৩ মাসের মধ্যেই সেরে ফেলতে হবে বাড়ি বানানোর সম্পূর্ণ কাজ।
এক্ষেত্রে দুর্নীতি আটকানোর জন্য মধ্যস্বত্বভোগীদের থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও টাকা পাওয়ার পরে বাড়ির কাজ যদি না হয় সেই ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ টাকা রাজ্যকে ফেরত দিতে হবে উপভোক্তাদের। এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সমীক্ষার মাধ্যমে এই টাকা প্রদান করছে রাজ্য।
বাংলা আবাস যোজনায় দুর্নীতি
এই প্রকল্প থেকে (Bangla Awas Yojana 2025) বহুভাবে দুর্নীতি সরানোর প্রচেষ্টা করা হলেও উপভোক্তাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে জালিয়াতির আতঙ্ক। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখরের পাঞ্জিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় একাধিক উপভোক্তার ব্যাংক একাউন্ট থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা। উপভোক্তারা সরাসরি ইসলামপুর সাইবার থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন।
উপভোক্তাদের দাবি অনুসারে, ব্যাংক একাউন্টে নগদ ৬০,০০০/- টাকা দেখার পরে ATM থেকে টাকা তুলতে গেছেন তারা। কিছুটা টাকা তোলার পরেই ব্যাংক একাউন্টের ব্যালেন্স একেবারে শূন্য হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন। সাইবার অপরাধ বিভাগের পক্ষ থেকেও এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Bangla Awas Yojana 2025 | Click Here |