Majhi Ladki Bahin Yojana 2025: রাজ্যের মহিলারা এবার প্রতিমাসে এক হাজার বা ১২০০ টাকা নয় বরং একেবারে ২১০০ টাকা আর্থিক সহায়তা পাবেন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে একাধিক জনহীতকর প্রকল্প চালু রয়েছে।
এর মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় প্রকল্প হলো পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্প নিয়ে একাধিক সময় সমালোচনার সম্মুখীন হলেও মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে একেবারেই কর্ণপাত করেন না। সম্প্রতি আরো একটি নতুন প্রকল্পের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে রাজ্য সরকারি সুত্রে।
রাজ্যের মহিলাদের ব্যাংক একাউন্টে প্রতি মাসে আর্থিক ভাতা দেবে রাজ্য সরকার। মূলত রাজ্যের আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মহিলাদের স্বনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যেই শুরু হতে চলেছে এই দুর্দান্ত প্রকল্প। এই প্রকল্পে আবেদনের জন্য আপনিও যোগ্য কিনা, সেটি বিশদে জানার জন্য অবশ্যই পড়বেন আজকের প্রতিবেদনটি।
প্রকল্পের নাম
মাঝি লাডকি বাহিন যোজনা – মুখ্যমন্ত্রী
Majhi Ladki Bahin Yojana 2025 এর উদ্দেশ্য
রাজ্যের বেশিরভাগ মহিলা এখনো পর্যন্ত আর্থিকভাবে স্বনির্ভর নন। রাজ্য সরকার বরাবরই মহিলাদের আত্মনির্ভরশীলতার উপরে জোর দিয়েছেন। প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিমাসে মহিলাদের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দিতে চলেছে রাজ্য সরকার।
Read More: নতুন বছরে বাড়বে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা? কি জানাচ্ছে রাজ্য সরকার?
Majhi Ladki Bahin Yojana 2025 এর সুযোগ সুবিধা
মূলত এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতি মাসে ১৫০০ টাকা আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকেন রাজ্যের মহিলারা। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের রাজ্য বাজেট পেশ করার সময় এই প্রকল্পের আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধি করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এক্ষেত্রে পরবর্তী বছরে এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিটি উপভোক্তার ব্যাংক একাউন্টে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি মাসে ২১০০ টাকা দেওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
আবেদনের যোগ্যতা
এই প্রকল্পটি (Majhi Ladki Bahin Yojana 2025) শুরু করা হয়েছে মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। এই কারণে এই প্রকল্পে আবেদনের ইচ্ছুক মহিলাদের অবশ্যই মহারাষ্ট্র রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।। পাশাপাশি মহিলাদের আর্থিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর অংশ হতে হবে, তবেই এই প্রকল্পে আবেদন জানানো যাবে।
প্রকল্প সম্পর্কিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মহিলার মঝি লাড়কি বহিন যোজনার সপ্তম কিস্তি দেওয়া নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে মহারাষ্ট্রের নারীদের মধ্যে। আসলে এই প্রকল্পের বিভিন্ন দুর্নীতি কমানোর চেষ্টা করছে মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার। এই কারণে এই সপ্তম কিস্তি দিতে দেরি হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে মহিলাদের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে জানুয়ারি মাসের ২৬ তারিখেই প্রকল্পের সপ্তম কিস্তি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।