Banglar Bari Prakalpa 2025: বাংলার বাড়ি প্রকল্পের নতুন আবেদন শুরু হল। এই ফর্মটি ফিলাপ করে আবেদন করুন।

By Ipsita Dey

Published On:

Follow Us
Banglar Bari Prakalpa 2025

Banglar Bari Prakalpa 2025: বাংলার বাড়ি প্রকল্প নিয়ে করা সিদ্ধান্ত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য পুরোপুরি বন্ধ করার জন্য উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার।

আপনি যদি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাংলার বাড়ি প্রকল্পের উপভোক্তা হয়ে থাকেন তাহলে আজকের প্রতিবেদনটি আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এই প্রকল্পের বিশেষ নিয়মাবলী সম্পর্কে না জানলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে আপনাকেও। তাই অবশ্যই সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশগুলি জেনে নিন।

বাংলার বাড়ি প্রকল্প

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই চলছিল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা। তবে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উপভোক্তাদের জন্য এই প্রকল্পের বরাদ্দ টাকা আসা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বহুবার কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ জানালেও কোনরকম আশানুরূপ উত্তর পাওয়া যায়নি। এর কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যবাসীর পাশে এসে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন। এই উদ্যোগেই শুরু করা হয়েছে বাংলার বাড়ি প্রকল্প।

Read More: PM Awas Yojana (প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা)

প্রকল্পের উদ্দেশ্য (Banglar Bari Prakalpa 2025)

রাজ্যবাসীর মাথার উপরের ছাদ পাকা করার জন্য উদ্যোগী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এক্ষেত্রে মধ্যস্বত্বভোগীদের লাভবান করতে একেবারেই ইচ্ছুক নন মুখ্যমন্ত্রী। মধ্যস্বত্বভোগীদের অবাধ বিচরণে ফলে প্রকল্পে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি আসতে পারে বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী।

প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা

Banglar Bari Prakalpa 2025 র জন্য মোট দুটি কিস্তিতে অর্থ প্রদান করবে রাজ্য সরকার। যেখানে প্রথম কিস্তিতে ৬০,০০০/- টাকা দেওয়া হবে এবং দ্বিতীয় কিস্তিতে বাকি টাকা পাবেন উপভোক্তারা। প্রতিক্ষেত্রেই যাতে সঠিক মানের পাকা বাড়ির তৈরি করতে পারেন, সেই দিকে খেয়াল রাখবে রাজ্য সরকার।

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশাবলী

  • বাংলা বাড়ী প্রকল্পের দায়িত্বভার ব্লকের বিডিও অফিসার উপর প্রদান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিডিও অফিসারদের দায়িত্ব থাকবে বাড়ি তৈরির উপকরণের বিক্রেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে ইট, বালি, স্টোনচিপ, অ্যাসবেস্টস ইত্যাদি উপকরণের গুণমান বিচার করে সঠিক দাম নির্ধারণ করা।
  • এর পাশাপাশি উপভোক্তাদের সরাসরি অনুরোধ জানিয়েছেন, যাতে তারা নিজেরা নিজের দায়িত্বে বাড়ি বানানোর সমস্ত কার্যকলাপ করেন। এক্ষেত্রে মধ্যস্বত্বভোগীদের কোন রকম ভাবেই আমন্ত্রণ জানাতে চাইছেন না মুখ্যমন্ত্রী।
  • প্রথম কিস্তি ঢোকার তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে অর্ধেক পরিমানে করে ফেলতে হবে বাড়ি বানানোর কাজ।
  • এরপর আশানুরূপ ফল পেলে তবে দ্বিতীয় কিস্তির টাকা দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। এই টাকা পাওয়ার মাত্র তিন মাসের মধ্যেই শেষ করতে হবে বাড়ি বানানোর সম্পূর্ণ কাজ।
Banglar Bari Prakalpa 2025Click Here

Leave a Comment