২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে মহিলাদের স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে শুরু হয় লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পে ২৫ বছর থেকে ৬০ বছর বয়সী কর্মহীন মহিলা বা গৃহবধূরা প্রতিমাসে ১০০০/- টাকা করে আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকেন।
এছাড়া তপশিলি জাতি উপজাতি বা আদিবাসী শ্রেণীর মহিলারা প্রতি মাসে ১২০০/- টাকা করে পান। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই প্রচুর মহিলা উপকৃত হয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের তিন বছরের সফল যাত্রা ইতিমধ্যেই পূর্ণ হয়েছে।
এবারে সবাইকে চমকে দিয়ে ৬০ বছরের পরেও লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা জারি রাখার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য। কিভাবে? তা জানার জন্য অবশ্যই চোখ রাখুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদনে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সাথে বার্ধক্য ভাতা সংযুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতদিন পর্যন্ত ৬০ বছরের পেরিয়ে গেলে লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা বন্ধ হয়ে যেত। তবে এবারে ৬০ বছর অতিক্রান্ত হলেই, লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের উপভোক্তা সরাসরি বার্ধক্য ভাতার আওতায় চলে আসবেন। অতি শীঘ্রই এই প্রস্তাব মন্ত্রিসভার সামনে পেশ করা হবে এবং মন্ত্রিসভার অনুমোদন গৃহীত হলেই রাজ্যের মহিলাদের জন্য এই পরিবর্তন আনা হবে।
রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ এর মাধ্যমে ‘ওল্ড এজ পেনশন স্কিম’ এর বিভিন্ন নিয়মের পরিবর্তন হবে। আসুন এক এক করে এই পরিবর্তন গুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক –
১) লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প সংযুক্ত হবে রাজ্যের বার্ধক্য ভাতার সঙ্গে।
২) লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের উপভোক্তারা ৬০ বছর অতিক্রম করলেই সরাসরি বার্ধক্য ভাতার আওতায় পড়বেন। এক্ষেত্রে কোনরকম রেজিস্ট্রেশন করতে লাগবেনা।
৩) যে সমস্ত রাজ্যবাসীর মাসিক আয় ১০০০ টাকা, তারাই এতদিন পর্যন্ত শুধু বার্ধক্য ভাতা পেতেন। তবে এবারে এই নিয়মের অবসান ঘটাতে চলেছে রাজ্য সরকার।